রোজার আগেই বাড়ছে দাম

২৮ জানুয়ারী ২০২৩

রমজান মাস শুরু হতে অনেকটা দেরি থাকলেও ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে কিছু পণ্যের দাম, বিশেষত মসলার। দামের ঘোড়া এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে রমজানে দর বেসামাল হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, রমজানে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, দামও বৃদ্ধি পাবে না। তাছাড়া রমজানে কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে, সে জন্য ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ক্রেতাদের দাবি, বাজারে এখন সব জিনিসের দাম চড়া।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে আমদানির শুকনো মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৩০ টাকা। তাই নয়, কেজিতে ৮০ টাকা বেড়েছে  দেশি শুকনো মরিচের দামও। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। আমদানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন সংকটে পণ্যটির দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ১৮০ টাকা কেজি দরের দেশি আদা এ সপ্তাহে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা। সরকারে নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে, কেজি ১২০ টাকার নিচে মিলেছে এ পণ্য। ওদিকে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। টিসিবির হিসাবে, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২ শতাংশের বেশি।

দাম বেড়েছে সরু চালেরও। বাজারভেদে সরু মিনিকেটের কেজি ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  ৬০-৬২ টাকা দরে মাঝারি মানের বিআর-২৮ , ভালো মানের নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা ও মোটা চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি।

ডিমের দামও আবার বাড়ছে, বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দামও। শীতের সবজির দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ক্রেতারা। কারণ প্রায় প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর