বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্য এজেন্টদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ তিন প্রার্থী এ অভিযোগ করেন।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম উপজেলা) ও বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা) দুই আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে একটি কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

দুই আসনেই বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হিরো আলম বলেন, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে বগুড়া সদরের লাহিড়ী পাড়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে ভীতি রয়েছে। ভীতি কাটাতে পারলে ভোটার বাড়বে। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করছে। ভোটাররা একতারা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।’

বগুড়া-৬ আসনের আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদার রহমান বলেন, শহরের মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্যদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে আপেল প্রতীকের এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে।

একই আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্রে ডাকাত পড়েছে। অনেক কেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রাজাপুর ইউনিয়ন, নুনগোলা ইউনিয়ন, শাখারিয়া ইউনিয়ন, মানিকচক উচ্চবিদ্যালয়, ভাণ্ডার পাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতশিমুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, শহরের সিটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বহু কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো ভোটকক্ষ থেকে কাউকে বের করে দেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ আমরা পাইনি।