চলতি শীত মৌসুমে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে সেবা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের। আর এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকার মহাখালীর ‘ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল’-এ ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিপাহ আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭০। নিপাহ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। নিপাহের বাহক বাদুর, খেজুর গাছের কাঁচা রস ও পাখির খাওয়া ফল খেলে এ রোগ হয়। তাই কাঁচা রস ও পাখির খাওয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান- এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে গেলেও দ্রুত এ ভাইরাস ছড়ায়, মাল্টিপল সংক্রমণ হয়। নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্ককতা অবলম্বনের ক্ষেত্র হিসেবে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে। জ্বরের সঙ্গে জ্ঞান হারালে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে। আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে নিপাহ না ছড়ানোর কারণে আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে।
ওদিকে ওই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও জানিয়েছিলেন, এবারের শীতকালে নিপাহ আক্রান্ত ৮ জন শনাক্ত হয়ে হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জনই মারা গেছে।
এমকে