তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ১০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

৭.৮ মাত্রার ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ তুরস্ক। সোমবার ভোরবেলায় অনুভূত হয়েছে কম্পন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫শ’রও বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। ১৪০টিরও বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের তলায় বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪২০ জনকে গুরুতরও আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

 

এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তুরস্ক ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায়ও বহু হতাহত হয়েছে।

 

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো দুই হাজার তিন শ’ জনের বেশি। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দেশটিতে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৬৩৯ জন।

 

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে মোট নিহত হয়েছেন অন্তত ৫২১ জন।

 

কম্পনের উৎসস্থল গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয় মধ্য তুরস্কে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। লেবানন, সিরিয়া ও সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

 

১৯৩৯ সালের পর এমন ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হলো তুরস্ক। ভূ-কম্পণের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র কম্পনের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচাতে মানুষ দৌঁড়ে পালাচ্ছে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার কাজে তৎপর হয়ে উঠেছে।

 

গাজিয়ানতেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন। ওই টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আপনারা শান্ত থাকুন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। এ পরিস্থিতিতে গাড়ি চালাবেন না। দয়া করে রাস্তায় ভিড় করবেন না।”


মন্তব্য
জেলার খবর