ওষুধ আইন-২০২২ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনে লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি, উৎপাদন, ভেজাল ওষুধ তৈরির মতো অপরাধে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটির মাধ্যমে ভ্যাকসিন লট কোয়ালিটি পরীক্ষা করা হবে। আর এ আইনের ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনটি এরপর সংসদের অনুমোদন পেয়ে বাস্তবায়ন শুরু হবে। পুরনো আইনগুলোকে সমন্বিত ও হালনাগাদ করে এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে কসমেটিকস যোগ করা হয়েছে। আইনটিতে মোট ত্রিশটি আমলযোগ্য বিবেচিত অপরাধের বিষয় রয়েছে। এসব অপরাধে নানা মেয়াদে জেল, জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন।
নতুন আইনে ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সে ট্রায়ালে নিরাপত্তা, কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে- জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ থাকতে হবে। কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ যারা করছেন- তাদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা ওষুধ প্রশাসন ঠিক করবে।
এমকে