যে কারণে তুরস্কে এতো প্রাণহানি

০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৮০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও)।

 

সোমবার ভোরের দিকে এ দুর্যোগটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৮। এছাড়া পরে আরো একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার মাত্র ছিল ৭.৬।

 

ভূমিকম্পে এতো বেশি প্রাণহানির কারণে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেশ কিছু কারণে এবারের ভূমিকম্পে এতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত তারা ভবনের নিম্নমানের কথা সামনে এনেছেন। এ মত দিয়েছেন ইস্তাম্বুলের বোগাজিসি ইউনিভার্সিটির কান্দিলি অবজারভেটরি অ্যান্ড ভূমিকম্প রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুস্তাফা এরডিক। তিনি বলেন, 'হতাহতের সংখ্যা এত বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ ভবনগুলোর নিম্নমান।'

 

তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় দুই হাজার ৯০০ ভবন ধসে পড়েছে।

 

তুরস্ক ১৯৩৯ সালের পর এতোবড় ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়নি। ১৯৩৯ সালে উত্তর-পূর্ব তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমিতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। খবর বিবিসির।


মন্তব্য
জেলার খবর