আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার ‘জেল ভরো তেহরিক’ নামে ভিন্ন ধরনের আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলতে দলীয় নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে কারাগারগুলো ভরিয়ে ফেলতে চান, যাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরো বেশি চাপে ফেলা যায়।
ইমরান খানের এমন ধরনের আন্দোলনের জবাবও দিয়েছে শাহবাজ সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করলে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হবে। খবর দ্য ডনের।
গত শনিবার নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ইমরান খান। ভাষণটি টেলিভিশনেও সম্প্রচার কা হয়। ওই ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে দু’টি পথ খোলা। এক, রাজপথে নেমে হরতাল–ধর্মঘট করা। তবে এতে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুই, “জেল ভরো তেহরিক” আন্দোলনের মাধ্যমে এ আমদানি করা সরকারের কারাগারগুলো ভরিয়ে ফেলা। আমরা কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয় পথটি বেছে নিতে যাচ্ছি।’
ইমরান খান তার দলের প্রত্যেক জেলার সভাপতিকে এটি তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই তালিকায় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নাম থাকবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হবেন। ইমরান খান বলেন, শুরুতে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের নাম নিবন্ধন করবো। এরপর জেল ভরো তেহরিক আন্দোলনের তারিখ জানানো হবে।
পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে তার আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘এটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। আপনারা রাজনীতি করতে এতে যুক্ত হবেন না। বরং আপনারা একটি জিহাদে অংশ নেবেন।’
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলতে আন্দোলনের ভিন্নধর্মী এই কৌশল বেছে নিয়েছেন ইমরান খান। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ সতর্ক করে বলেন, ‘তিনি (ইমরান খান) যদি কেন্দ্রীয় সরকারকে হটাতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাহলে তাকেও কারাগারে যেতে হবে।’