বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেলে চরার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত র্যাপিড পাশ বা কার্ড দিয়েই ঢাকা নগর পরিবহন বাসে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেয়ক আতিক।
সভায় রাজধানীতে আরও দুই রুটে আগামী মে মাসের শেষে বা জুন মাসের প্রথমে ঢাকা নগর পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এ দুই রুটের নম্বর ২৪ ও ২৫।
এদিকে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাস রুট কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ইতোমধ্যেই চালু হওয়া এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন দুটি বাস রুট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও একটি কার্ড দিয়ে মেট্রোরেল ও বাসে চলাচল করতে পারেন যাত্রীরা। তেমনি মেট্রোরেলের র্যাপিড পাশ বা কার্ড দিয়েই নগর পরিবহনের সব বাসে চলতে পারবেন যাত্রীরা- এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। ২৪ ও ২৫ নম্বর রুটের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারবেন। এ দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলাচল করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৪ নম্বর রুটটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে বসিলা হয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসী ফ্লাইওভার হয়ে বিমানবন্দর-জসীমউদ্দীন হয়ে আবদুল্লাহপুর যাবে। আর ২৫ নম্বর রুটে ঘাটারচর থেকে বসিলা হয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-শাহীন স্কুল-মহাখালী (উড়াল সেতুর নিচ দিয়ে) কাকলী-বনানী উড়াল সেতু হয়ে রিজেন্সি-বিমানবন্দর-জসীমউদ্দীন হয়ে আবদুল্লাহপুর যাবে।
এমকে