একটি জমির ফসলের উৎপাদন মূলত নির্ভর মান সম্পন্ন বীজের ওপর। বীজ উন্নত না করতে পারলে ফলন বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। দেশে মোট চাহিদার ৫৩ শতাংশ বীজ আমদানি হয় বেসরকারিভাবে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ডলার না মেলায় সামনের দিনগুলোয় ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে বীজ আমদানি করা সম্ভব হবে না। দেশে এখন বছরে সাড়ে ১২ লাখ টন বীজের প্রয়োজন। বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলেনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কৃষককের কাছে ভালো মানের বীজ সরবরাহের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া সিড কংগ্রেস উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এ কংগ্রেস হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট চাহিদার মধ্যে ধানবীজের ৪৪ শতাংশ, হাইব্রিড ধানের ৯৭ শতাংশ, ভুট্টার ৯৯ শতাংশ, সবজি বীজের ৮৬ শতাংশ, আলু বীজের ৭৪ শতাংশ, পাট বীজের ৮৩ শতাংশ বীজ আসে বেসরকারি খাত থেকে। সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের ‘জ্ঞানমান’বাড়োনোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বলা হয়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও প্রধানটি হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ। সর্বপ্রথমে চাষিদের স্মার্ট করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই করা সম্ভব। কৃষকের জ্ঞানমানকে একটু আপডেট করতে পারলে বর্তমান প্রযুক্তি দিয়েই ফলনটা বাড়ানো যাবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কংগ্রেসে মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টল থাকছে। কংগ্রেসে দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, বীজ ডিলার, বীজ ব্যবসায়ী, বীজ শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষিবিদ, ব্যাংকার, শিক্ষক ও কৃষক প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
এমকে