জয় ভিন্ন অন্য কিছু ভাবছিল না দু'দল। কারণ জয় দরকার ছিল দু'দলেরই। জিতলে সরাসরি খেলার সুযোগ মিলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে, হারলে খেলতে হবে এলিমিনেটরে। এমন সমীকরণে শুক্রবার মাঠে নামে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। খেলতে নেমে রংপুরকে ৭০ রানের বিশাল ব্য্ধানে হারাল কুমিল্লা। এ জয়ের পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নিল কুমিল্লা। সিলেট ও কুমিল্লা দুদলই সমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে খেলবে কোয়ালিফায়ার পর্ব। এলিমিনেটর পর্বে খেলতে হবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালকে।
শুক্রবার আগে ব্যাট করে কুমিল্লা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে তারা। জবাব দিতে নেমে ১০৭ রানে থেমে যায় রংপুর রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারও টিকতে পারেনি দলটি। মুস্তাফিজ-নারিনদের দাপুটে বোলিংয়ে অলআউট হয় ১৭ ওভারে।
আগে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার হয়ে দারুণ ইনিংস খেলেছেণ লিটন কুমার দাস। এ ছাড়া শেষ দিকে দ্রুত তোলেন জাকের আলি ও খুশদিল শাহ। তাতে লড়াই করার মতো বড় সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।
মিরপুর শেরেবাংলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লাকে ঝোড়ো শুরু এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন কুমার দাস। দলীয় ২৩ রানে ভাঙে এই জুটি। ২১ বলে ২৪ রান করা রিজওয়ানকে বিদায় করেন ওমরজাই। তিনে নামা সুনিল নারিন
অবশ্য টিকতে পারেননি। ৮ রানেই ফেরেন সাজঘরে। লিটনের ব্যাটে চড়ে পাওয়ার প্লেতে তবু ৬৩ রান তুলতে পারে কুমিল্লা।
মাঝে চারে নেমে ১৯ রান করেন ইমরুল কায়েস। ছুটতে থাকা লিটনের ইনিংস থামে ৪৭ রানে। ৩৩ বলে তার ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি করে ছক্কা-চারে। লিটনের পর শেষে দিকে জাকের আলির ৩৪ রান ও খুশদিল শাহর ২০ বলে করা ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭৭ রানের সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা।
রান তাড়ায় খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি রংপুর। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটি। এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। কিছুটা লড়াই করেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু ২৯ রান করে তিনিও থেমে যান। উইকেট হারানোর মিছিলে জয়ের নাগাল পেতে ব্যর্থ হয় নুরুল হাসান সোহানের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১৭৭/৫ (রিজওয়ান ২৪, লিটন ৪৭, নারাইন ৮, ইমরুল ১৯, জাকের ৩৪, খুশদিল ৪০*, রাসেল ০*, ওমারজাই ৪-০-৩৪-২, রাকিবুল ৪-০-১৮-১, নাভিন ৪-০-৪৯-০, রিপন ৪-০-৪৫-১, হাসান ৪-০-৩১-১)।
রংপুর রাইডার্স : ১৭ ওভারে ১০৭ (নাঈম ৬, রনি ১৩, গুরবাজ ২৯, কোহলার-ক্যাডমোর ১, সোহান ৭, শামীম ১১, ওমারজাই ১৫, রকিবুল ১৬, রিপন ৫, নাভিন ০, হাসান ২*; তানভির ৪-০-২৬-২, রাসেল ২-০-১৬-১, নারাইন ৪-০-২৭-২, খুশদিল ২-০-১৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-১৮-৩, মুকিদুল ১-০-৩-০, মোসাদ্দেক ১-০-১-০)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭০ রানে জয়ী।