প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক প্রদান করে সরকার। এবছর দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদক পাওয়া বিশিষ্টজনেরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে খালেদা মনযুর-ই খোদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান, শিল্পকলায় মাসুদ আলী খান (অভিনয়), শিমুল ইউসুফ (অভিনয়), মনোরঞ্জন ঘোষাল (সংগীত), গাজী আবদুল হাকিম (সংগীত), ফজল-এ-খোদা (সংগীত, মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (আবৃত্তি), নওয়াজীশ আলী খান ও কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা), মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর, গবেষণায় ড. মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’ প্রতিবছর সরকার এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।