দীর্ঘ ২০ বছরের আন্দোলন শেষে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যপক সমালোচনা ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার পের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ধরণের পিলের ব্যবহারকে ‘হারাম’ বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনো নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে, দেশের সমস্ত ওষুধের দোকানগুলিকে গর্ভনিরোধক বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে তালেবান নেতারা। খবর ফার্স্টপোস্টের।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এরইমধ্যে রাজধানী কাবুল ও বলখ প্রদেশের ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না জন্মনিয়ন্তণের বড়ি। তালেবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন স্তরের জনগণ ও নেতারা। এ নয়া সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক মন্ত্রী শবনম নাসিমি।
সম্প্রতি এক টুইটে তিনি বলেন, গর্ভনিরোধক ব্যবহার নারীদের মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে। এ অধিকার কেড়ে নেয়া অনৈতিক। আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থাগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তালেবানি ফতোয়া জারি হতেই হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে গর্ভনিরোধক পিলের দাম। দেশের বেশ কিছু জায়গায় এ ওষুধের কালোবাজারি শুরু হয়েছে বলেও খবর মিলেছে।
তালেবান এরইমধ্যে এ ওষুধের আমদানি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। আগে মধ্য-বয়সে পৌঁছলে গর্ভনিরোধক পিল কেনা যেত। কিন্তু তালেবান এখন শুধু ৩৫ বছরের বেশি বয়স্ক নারীদের জন্য এ পিল অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া সন্তান না থাকলে তাদের কাছেও পিল বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল।