রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্খিত: সিইসি

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই। এ কথা উল্লেখ করে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন- রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে এ ধরণের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হলে, সেটা হবে অনাকাঙ্খিত। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে  সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায়ে বলা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মতোই দুদকের অবসরপ্রাপ্ত একজন   কমিশনার রাষ্ট্রপতি পদে কোনোভাবেই অবৈধ নয়। তিনি জানান, রাষ্টপতি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে। আর প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। যেহেতু এ পদে একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন এবং তার দু'টি মনোনয়নপত্র ছিল। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে এবং প্রচলিত যে আইন কানুন ও সংবিধান- সবকিছু বিবেচনা করে দেখা হয়েছে এ ক্ষেত্রে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও জানান, দুদক আইনের  ৯ ধারায় বলা হয়েছে- কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। কিন্তু এখান থেকে প্রার্থীকে নিয়োগ দান করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ দান করেননি। কেউ নিয়োগ দান করেননি এবং কেউ নিয়োগ দান করতে পারেন না। তিনি জানান, মো. সাহাবুদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন, আইন তাকে প্রচলিত প্রথা অনুসরণ করে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচন এবং নিয়োগের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য বুঝতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি। বলেন, যদি এখান থেকে নিয়োগ দান করা হলে সেটি অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ নিয়োগ দানের কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব ইসির বা কারোই নেই।  উদাহরণ টেনে বলেন,  জাতীয় সংসদের সদস্যরা কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত না। তারা নির্বাচিত হন। সেটাই তাদের নিয়োগের সমতুল্য।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর