স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রোহিঙ্গা এলাকা

১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা এলাকা এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস সি, ডিপথেরিয়াসহ নানা রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারীকে। এখন পর্যন্ত এ এলাকায় ৭১০ জন এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।  বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)  কমিটির বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বর পরযন্ত এইচআইভিতে আক্রান্ত ৬১ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে দৈনিক গড়ে ৯৫ জন শিশু জন্মগ্রহণ করে। ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১২-১৩ লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং সাতটি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। বেশিরভাগ ক্যাম্প আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। নিয়মিত টহল ও নজরদারি জোরদারের অভাবে তমব্রু কোনাপাড়া ক্যাম্পটি  পরিণত হয়েছে আরসার সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরসা উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী, হোয়াইক্যংয়ে; ডাকাত দলের মধ্যে আরএসও এবং মাস্‌টার মুন্না উখিয়ায়, পালংখালীতে; ইসলামী মাহাজ ও জাবু হোয়াইক্যংয়ে এবং নয়াপাড়া ক্যাম্পে চাকমা, নবী হোসেন, পুতিয়া, সালমান শাহ, খালেক দল সক্রিয় রয়েছে।  তবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা ও নবী হোসেন ডাকাত দল প্রায়ই মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আরসার উপস্থিতি ও তাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর