দেশে মার্চ, এপ্রিল, মে এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এ পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে। এ সময় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবেন হতদরিদ্র মানুষ। রমজানে এক কোটি হতদরিদ্র পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় এ চাল পাবেন। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আতপ চাল বিতরণ করা হবে তাদের মাঝে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৪ মার্চ দেশে শুরু হবে রমজান মাস।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে চালের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে না মানুষ। তার কারণ স্বাধীনতার পর এ বছর সর্ববৃহৎ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিতরণ হচ্ছে। তিনি জানান, চলতি বছর বারো মাস ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। ওএমএস থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে স্বাধীনতার পর সরকারি গুদামে এখন সবচেয়ে বেশি মজুত খাদ্যশস্যের। ১৫ ফেব্রুয়ারির হিসাবে ২০ লাখ ৩৩ হাজার টন সরকারি খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। চালের জন্য কোনো হাহাকার নেই। এ দেশে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বড় ধরনের দুর্বিপাক ছাড়া বোরোতেও যদি বাম্পার ফলন হয়, তাহলে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।
এমকে