বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হনসিকা মোতওয়ানি। শুধু বলিউডেই নয় কাজ করছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও। সম্প্রতি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন এ অভিনেত্রী। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি।
২০০৭ সালে ‘আপ কা সুরুর’-এ এক মহিলা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলে এ অভিনেত্রী। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রীর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে হতবাক নেটিজেনরা। অনেকেই তখন মন্তব্য করেছিলেন, হনসিকাকে হরমোনাল ইনজেকশন দিয়েছে তার মা।
হনসিকা সেই সমালোচনার জবাবে বলেছিলেন, ‘তারকা হওয়ার মূল্য তো দিতেই হয়। ২১ বছর বয়সে নানা কু-মন্তব্যের সম্মুখীন হয়েছি। বুঝতেই পারছেন কীসের কথা বলছি… আমি যদি সেই সময়টা কাটিয়ে উঠতে পারি, এই সময়টাও কাটিয়ে উঠতে পারব। লোকের মুখে শুনতে হয়েছিল, আমার মা আমাকে নারী হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য ইনজেকশন দিয়েছে, হরমোনাল ইনজেকশন দিয়েছে'।
এবার বিয়ের পর নতুন করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এ অভিনেত্রী। সোহেল কাঠুরিয়ার সাথে দীর্ঘদিনের পরিচিতি হনসিকার। সোহেল তার বিজনেস পার্টনারও। ২০২০ সালে হনসিকার সাথে হাত মিলিয়ে সোহেল একটি অনুষ্ঠান আয়োজনকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো সোহেলের প্রথম বিয়েতে হাজির ছিলেন হনসিকা। গত নভেম্বরে সোহেলের সাথে বাগদানের ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগের তির উঠেছে হনসিকার দিকে।
তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে ছেলেবেলার বান্ধবী রিঙ্কির ঘর ভেঙে তার বরকে হাতিয়ে নিয়েছেন। সোহেল-রিঙ্কির বিয়ে ভাঙার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় হনসিকাকে। 'ঘরভাঙানি' তকমা সেঁটে দেওয়া হয় তার নামের পাশে।
হানসিকা অভিযোগগুলোকে সম্বোধন করে বলেছেন, ‘একজন সেলিব্রিটি হওয়ার মূল্য তো দিতেই হবে।’