সন্দুক খাল খনন না করায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

অবৈধ দখল, দূষণ আর ভরাটের কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঈশ্বরগঞ্জের ঐতিহবাহী সন্দুক খাল। নাব্যতা সঙ্কট ও সংকুচিত হওয়ায় খালের দু’পাড়ের কৃষি জমিতে শীত মৌসুমে জলশূন্যতা ও বর্ষায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে ৪টি গ্রামের শতশত একর কৃষি জমির আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি, মাঝিয়াকান্দী, তারাকান্দি ও কাকনহাটি গ্রামের মাঝ দিয়ে খালটি বয়ে গেছে। শিগগিরই খালটি দখলমুক্ত করা না হলে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষিতে বিপর্যয় আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এক সময়ের খরস্রোতা খাল এটা। কিন্তু এখন একদিকে খালের দুই তীরে যেমন অবৈধ দখল করা হয়েছে, তেমনি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও খালের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় চরহোসেনপুর সিন্নি বিল থেকে শুরু হয়ে কাঁচামাটিয়া নদীতে মিলিত হওয়া খালটির কাগজকলমে দৈর্ঘ্য ৫.৩০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৮ মিটার। কিন্তু সরেজমিন কোথাও কোথাও দেখা যায় দুই মিটারেরও কম। আবার কিছু স্থানে খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ কাকনহাটি গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, বর্ষাকালে জমিগুলোতে পানি আটকে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ফসল রক্ষায় খালটি খনন করা জরুরি। কৃষক আব্দুল হাই জানান, বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বাঁধ নির্মাণে খালটিতে পানি প্রবাহ নেই। পানি আটক থাকায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। বৃদ্ধ কৃষক আশরাফ আলী জানান, বাপ চাচাদের মুখে শুনেছি গায়েবি সন্দুক গিয়ে এ খালটি তৈরি হয়েছিলো, তাই এর নাম সন্দুক খাল। অবৈধ দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে আমরা কথা বলতে পারি না। জয়পুর গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আবাদি জমির ভালো ফসল উৎপাদনের স্বার্থে খালটি খনন করা খুব জরুরি। ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারেছ আহমেদ জানান, জায়গায় জায়গায় অবৈধ দখলের কারণে খালটি এখন মৃত। খালটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনলে এ অঞ্চলের কৃষকরা উপকৃত হবে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান জানান, নাব্যহীন খালগুলোর তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অবৈধভাবে খাল দখলের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মো. হুমায়ুন কবীর/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর