মূল্যস্ফীতির চাপ এবং করোনা পরবর্তীকালীন চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে যায়। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ চাপ মোকাবিলায় রিজার্ভ কমতে শুরু করে।

দেশের রিজার্ভ শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি প্রবাসী আয় উৎসাহিত করার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে আগামীতে রিজার্ভে স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। সবশেষ গেল মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থ দিয়ে ৪ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বেশ কিছু পদক্ষেপসহ রিজার্ভে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা জোরালো হওয়ার এ কথা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকার কথাও জানান। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনে বুধবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিষয়টি জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং করোনা পরবর্তীকালীন চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে যায়। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ চাপ মোকাবিলায় রিজার্ভ কমতে শুরু করে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

সংসদ নেতা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আরও বৃদ্ধি পায় রিজার্ভের পরিমাণ কমার হার।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পতিত জমি চাষাবাদের উদ্যোগসহ কৃষি খাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। জানান, পতিত জমি চাষাবাদের উদ্যোগের ফলে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলসহ অন্য ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যেও রয়েছে এ দেশ। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদকে তার সরকারের নেওয়া যোগাযোগ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প ও আগামী দিনের পরিকল্পনা, প্রাথমিক শিক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপসহ সফলতার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

বিডি/এন/এমকে