ভোগান্তি ৩ ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের

হুমায়ুন কবীর,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ):
২৫ জুন ২০২৩

ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারোবাড়ী সড়কের নির্মাণ কাজ পুরোটা শেষে না হওয়ায় ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। অসমাপ্ত অংশে সৃষ্ট খানাখন্দ এর কারণ।

বর্ষাকালের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সেই খানাখন্দ ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। খানাখন্দ আর কাদা-জল একাকার হওয়ায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো উল্টে যাচ্ছে গাড়ি, কখনও পড়ে গিয়ে হাত ভাঙছে পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের।

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সড়কের কিছু কিছু অংশের কাজ থমকে আছে, শেষ করা যাচ্ছে না। এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে নগদ টাকা ছাড়া জমি ছাড়তে নারাজ কিছু ভূমি মালিকের কারণে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় পুরো সড়কটি ঝকঝকে চকচকে হলেও সোহাগী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সামনে সড়কটিতে বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বৃষ্টিতে এখন সেখানে প্রায় হাঁটু পানি। নিজেদের যানবাহন নিয়ে ওই অংশ পার হওয়ার সময় চালকরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। কাদা পানির মধ্যে যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।

এদিকে রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে কাদাপানির জন্য ক্রেতা আসছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। অপরদিকে সড়কটির ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কিছু অংশেও দেখা যায় এমন চিত্র।

জানা যায়, সড়ক জনপথ বিভাগের (সওজ) অধীনে ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় এ সড়কের কাজ। ১৫ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ১১৫ কোটি ৫৯ লাখটাকা। কাজ শুরুর পরবর্তী বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ১২ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকা সোহাগী বাজারের কিছু অংশের কাজ সমাপ্ত হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়।  দীর্ঘদিন কাজ আটকে থাকায় এ অংশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদুল জানান, চোখের সামনে প্রতিনিয়তই উল্টে যাচ্ছে ছোট বড়

বিভিন্ন গাড়ি। রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার কারণে বেচাকেনাও খুব কম। চালক আতিক মিয়া বলেন, ভাঙা অংশ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসার সময় চরম আতঙ্কে থাকতে হয়। পথচারী শহীদ মিয়া জানান, কাঁদাপানি দিয়ে চলাচলে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে আমাদের। সোহাগী ইউনিয়ন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ কুমার বণিক জানান, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতে চরম সমস্যা হচ্ছে রাস্তাটির জন্য।

সওজ- এর উপসহকারী প্রকৌশলী শেখ মোজাম্মেল হক জানান, খানাখন্দের অংশটুকু দ্রুত চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ মাসের মধ্যেই অধিগ্রহণ জটিলতার অবসান হবে বলে আশা করা যায়।

 


মন্তব্য
জেলার খবর