চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
চট্রগ্রামে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা ইমন রনি নিহত ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রীতম সরকার।
আটকরা হচ্ছেন- আরেফিন নগর আস্তানা নগর এলাকার মোহাম্মদ আহসান কবির,মোহাম্মদ সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা কলোনির মোহাম্মদ ফজর আলী, রাজা মিয়ার বাড়ির মোহাম্মদ লিটন, ড্রাম গেট এলাকার মোহাম্মদ নুর আলম এবং ফিরোজ মিয়া কলোনির মোহাম্মদ রুবেল।
রোববার (৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইমন রনি আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নূর কাসেমের ছেলে ও সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।
এদিকে রাত পৌনে ১১টার দিকে রনির লাশ চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের রনি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ইমন রনির নিহতের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ওসি প্রীতম সরকার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইয়াছিন হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত কয়েকদিনে এনিয়ে বায়েজিদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে কয়েকবার।
ডিকেটি/এমকে