কাঁচা মরিচ- ফাইল ছবি
বেসামাল হয়ে পড়েছে কাঁচা মরিচের বাজার। হঠাৎ করেই না, কয়েকদিন হচ্ছে হু হু করে দাম বাড়ছিল। সেটা ঈদের আগের দিনে ঠেকেছে ৪-৫শ’ টাকা কেজি। বিক্রেতারা আর এখন কেজির দর হাকছে না। ক্রেতারা দাম জানতে চাইলে বলা হচ্ছে- পোয়ার দর। রাজধানীর বাইরে ১শ’ টাকা বা তার কিছুটা কম হলেও রাজধানীতে চাওয়া হচেছ ১২৫ টাকা। হঠাৎ করে কেন এত দাম হলো কাঁচা মরিচের, সে প্রশ্ন এখন জনমনে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে কাঁচা মরিচ। ঈদের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দিন গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম। অতি খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মরিচের গাছ। কমছে উৎপাদন। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন- যেমন কেনা, তেমন বেচা। আড়তেই দাম বেশি। ওয়েট লস, ড্যামেজ ধরলে লাভ কেজিতে ৫-১০টার বেশি হয় না।
দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজের মতো কাঁচা মরিচও আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত তারপর দাম সহনীয় পর্যায়ে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। আমদানির কাঁচা মরিচও দেশীয় কাঁচা মরিচের সঙ্গে মিল রেখেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকে এলাকায় আমদানির মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ টাকা দরে। ঢাকার বাইরে এ দর ৩শ’৮০ থেকে ৪শ’ টাকা। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোজ বিরাজ করছে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি থাকায় বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিত। এটাকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা।
ওদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদা কমা আর আমদানিতে সরবরাহ বাড়ায় দু-চারদিন পরে এমনিতে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাবে। কিন্তু তার আগেই ভোক্তাদের পকেট ফাঁকা করে অধিক মুনাফা লুটবে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।
বিডি/এন/ই/এমকে