রাজশাহীতে মিশুকে প্রায় দেড়গুন বাড়তি ভাড়া, হেনেস্তার শিকার যাত্রীরা

মো. মানিক হোসেন, রাজশাহী:
২৮ জুন ২০২৩

মিশুক চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা বলছেন যাত্রী- ছবি মানিক হোসেন

ঈদুল আজহা উদযাপনে ঘুরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ পড়ছে যানবাহনের ওপর। এ সুযোগে দুরদূরান্তে থেকে আসা যাত্রীদের কাছে থেকে নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে প্রায় দেড়গুন বেশি ভাড়া আদায় করছে স্থানীয় যান মিশুকের চালকরা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগীদের মধ্যে, তবে কেউ কেউ বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ করলেই  হতে হচ্ছে হেনস্তার শিকার।

বুধবার (২৮ জুন) বেলা আড়াইটায় রাজশাহী রেলগেটে এলাকায় বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।

মিশুক চালকদের সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী রেল গেট থেকে গাঙ্গোপাড়ার ভাড়া ৮০ টাকা, সেখানে নেওয়া হচ্ছে  ১২০ টাকা; মোহনগঞ্জ পর্যন্ত  ৭০টাকা ভাড়া হলেও নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা; তাহেরপুর পর্যন্ত ১০০ টাকা ভাড়ার জায়গায় আদায় করা হচ্ছে ১৫০ টাকা, তানোর পর্যন্ত ৬০ টাকার পরিবর্তে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা, চৌবাড়িয়া পর্যন্ত ১০০ টাকার জায়গায় ১৫০ টাকা না দিলে যাত্রী তুলছে না চালকরা।

যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ঈদ উপলক্ষে ১০-১৫ টাকা বকশিষ বা ‘বোনাস’   নিতেই পারেন চালকরা। কিন্ত সেখানে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত তাও জোর করে আদায়- এটা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বলে মনে করছেন তারা।

রাজশাহী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজে স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন বলেন, ভাড়া বেশি হওয়ায় যাত্রীরা সহজে উঠছে না গাড়ীতে। আমি থেকে ৬টা মিশুকের চালকের সাথে কথা বলেছি। তারা বাড়তে ভাড়া কিছুতেই কমাতে রাজি হয়নি। বলছেন, গেলে চলেন, না গেলে নাই। অবশেষে বাধ্য হয়ে উঠছেন গাড়িতে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান, ঢাকা থেকে এসেছেন রাজশাহীতে। বলেন, মোহনগঞ্জ যাবো। কিন্তু ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করে লাভ হচ্ছে না। অভিযোগ জানানোর জায়গাও নেই। অনেকে মনে করছেন ৫০ টাকার জন্য ঝামেলা করে কি লাভ। কথা না বাড়িয়ে আমার মত যেতে বাধ্য হচ্ছে।

এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এটা গরীবের ওপর অন্যায় অত্যাচার করা হচ্ছে। কেন তদারকি করা হচ্ছে না সিএনজি, মিশুক স্ট্যান্ডে?

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা মিশুক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভুলু বলেন, ঈদ বোনাস ১০, ২০ টাকা নিচ্ছে হয়তো। কিন্তু, ৫০ টাকা নিচ্ছে- এমনটি না হয়তো৷ তারপরও বিষয়টি দেখছি।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর