ছবি- সংগৃহিত
এবার চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের মতোই হবে, সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে না। ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আড়তে লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ শুরু হবে। বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন (বিটিএ)’র সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মূল্যস্ফীতির কারণে কোরবানির পরিমাণ গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি হবে না বলে মনে করছেন চামড়া কেনাবেচায় জড়িত সংশ্লিষ্টরা। এমন ধারণা থেকে এ বছর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে না।
এদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী লবণ ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহসহ চামড়া সংরক্ষণে যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন লালবাগের পোস্তার ১১০টি আড়ত। কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিনস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএসএমএ) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর লবণযুক্ত চামড়ার দাম সরকার বেধে দিয়েছে। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সরকারি দরের চেয়ে কম দরে কাঁচা চামড়া না কিনে থাকলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ সরকার নির্ধারিত দরে চামড়া কিনলে এর সঙ্গে শ্রমিকের খরচ, গোডাউন ভাড়া যোগ হবে।
সরকারিভাবে এবার লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির (ছাগী) চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় ও ঢাকার বাইরের জন্য এ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাঁচা চামড়ার আড়ত পর্ায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া সংরক্ষণে ৮ থেকে ৯ কেজি লবণ লাগে। এর সঙ্গে শ্রমিকের খরচ, গোডাউন ভাড়া গুনতে হয়। ছোট সাইজের গরুর চামড়া ২০ থেকে ২২ বর্গফুটের মতো হয়। লবণ ছাড়া ছোট সাইজের গরুর কাঁচা চামড়া ৫০০ টাকা, মাঝারি সাইজের গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং বড় সাইজের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার বেশি দামে কিনলে এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে।
বর্তমান বাজার দরে এক লাখ বা তার নিচের দামের গরু ছোট সাইজের, এক লাখ-দেড় লাখ টাকা দামের গরু মাঝারি সাইজের এবং দুই লাখ বা তার উপরের দরের গরু বড় সাইজের বলা যায়।
বিডি/ই/এমকে