বিনামূল্যে সেধে দিতে চাইলেও চামড়া নেয়নি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

মো. মানিক হোসেন, রাজশাহী
৩০ জুন ২০২৩

গরুর চামড়ার দাম নামকাওয়াস্তে পেলেও ছাগল বা বকরি বা এ ধরণের ছোট গবাদিপশুর চামড়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কোরবানিদাতারা। বিনামূল্যে সেধে দিতে চাইলেও এসব চামড়া নিচ্ছেন না মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে স্থানীয় হাট বাজারে এসব চামড়া ফেলে রেখে গেছেন তারা। এতে এদিকে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগীদের মধ্যে। দুর্গন্ধ টিকতে পারছে না স্থানীয়রা। হাট-বাজারের পরিবেশ দুগন্ধমুক্ত রাখতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচেছ সংশ্লিষ্ট হাট-বাজার কর্তৃপক্ষকে।

শুক্রবার (৩০ জুন) উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার, হাট গাঙ্গোপাড়া, বাঁধের হাটে এসব চামড়ার পরিত্যক্ত স্তুপ দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি চামড়া ষাঁড় গরুর থেকে ৭০০ টাকা, অন্যান্য গরুর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বলদ ৩০০ টাকা, খাসি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাকি পশুর চামড়া কেনা তো দুরের কথা চেয়ে দেখেনি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। কিন্তু চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। নরদাশ ইউনিয়নের গোড়সার গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের পরিবারে খাসি গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছ। লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। কিন্ত খাসির চামড়া ১০ টাকায় দিতে চেয়েছি. তবুও নেয়নি ফড়িয়ারা।

হাট গাঙ্গোপাড়া হাটে চামড়া কিনতে ভয় পাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন। কারণ হিসেবে জানান, কেনা চামড়া বিক্রি না হলে লোকসান গুনতে হবে। ট্যানারি মালিকরা নির্দিষ্ট সময়ে চামড়া নিতেও চায় না। এ ছাড়া দামও কম দেয়।

ভবানীগঞ্জ হাট কমিটির সভাপতি রহিদুল ইসলাম জানান, দর সন্তোষজনক না হওয়ায় বেশিরভাগ হাটে চামড়াগুলো ফেলে রেখে গেছেন চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজন।  এখন পরিচ্ছন্ন করতে লোককে দিতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা।

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর