ফ্রান্সে ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান নাগরিক নিহতের ঘটনায় দেশজুড়ে
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকান ওই যুবক ট্রাফিক আইন অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
তবে তাকে শাস্তির আওতায় না এনে গুলি করে হত্যা করাকে অন্যায় হিসেবে বিবেচনা
করছে সে দেশের জনগণ। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁও এর নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি ওই পুলিশের শাস্তির দাবি করেছেন।
তার কথায়, ‘এ ঘটনার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে
ইচ্ছাকৃত হত্যার চার্জ আনার দাবি করেছেন তিনি।’
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, এ দেশে আমরা আর নিরাপদ নই। যে কোনো সময় যে কেউ
খুন হয়ে যেতে পারে। ফ্রান্সের স্পিরিট ছিল সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা। সেই ফ্রান্সের আর
কোনো অস্তিত্ব নেই। দেশটা এক পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্যারিসের
দিকে দিকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অশান্তির জন্য ৪২১ জন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ
আটক করেছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে ১৭০ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন বলে প্রশাসনের দাবি।
একাধিক স্কুল, বাস, পুলিশের ভ্যানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙার চেষ্টা হয়েছে থানা ও
সরকারি ভবন।
আরআই