সুইডেনের স্টকহোমে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে বেশ কিছু মানুষকে ইরাকের
সুইডিস দূতাবাসে হামলা চালাতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিক বলেছেন,
কিছু লোক দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা বেরিয়ে আসে। পরে
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়।
গত বুধবার শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে
দেন সালওয়ান মোমিকা এক ব্যক্তি। তিনি মূলত সুইডেন প্রবাসী। তিনি ইরাকের নাগরিক।
এদিকে মোমিকাকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের
বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। তবে কোরান পোড়ানোর
ঘটনাকে তারা সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে। তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, এ ঘটনা ‘আইনগতভাবে বৈধ হলেও
অনুচিত’ ছিল।
এক বিবৃতিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, উদ্ধত পশ্চিমাদের
আমরা একসময় শিক্ষা দেবো যে মুসলিমদের অপমান করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।
মিশর বলেছে, যখন মুসলিমরা ঈদুল আজহা পালন করছে তখন, এ লজ্জাজনক ঘটনা বিশেষভাবে
উস্কানিমূলক।
আরআই