পাঁচ হাজার ছয়শ’ যাত্রী এবং ২ হাজার ৩৫০ জন ক্রু নিয়ে যাত্রার জন্য প্রস্তুত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ আইকন অব দ্য সিস’।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে ক্যারিবিয় সাগরে যাত্রা করবে এটি। ফিনল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে
এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
মূল যাত্রার আগে পরীক্ষমূলক সমুদ্রে চলাচল করবে এটি। সবকিছু ঠিক থাকলে যথা
সময়ে চুড়ান্ত যাত্রা করবে এটি।
এ প্রমোদতরী লম্বায় এক হাজার ২০০ ফুট ও ওজন দুই লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন। এতে
রয়েছে সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াটারপার্ক ও ছয়টি রেকর্ড-ব্রেকিং ওয়াটার স্লাইড।
থাকবে সাতটি পুল ও নয়টি পানির ঘূর্ণি।
ইতোমধ্যে প্রথম দফা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২২ জুন এ যাত্রা শেষ
করে জাহাজটি। এ যাত্রায় শত মাইল চলাচল করেছে। পরীক্ষা করা হয়েছে প্রধান ইঞ্জিন, ব্রেক
সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ ও কম্পনের মাত্রা।
মায়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডের সিইও টিম মেয়ার জানান, জাহাজটির পেছনে আমরা অনেক
অর্থ, সময় ও প্রকৌশল দক্ষতা ব্যয় করেছি। এ প্রমোদতরীতে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই
আছে। বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা, স’না, নিজস্ব রান্নাঘর, সাজানো কেবিন
রয়েছে। বিশ্বের প্রথম এলএনজি চালিত শিপটিতে ব্যবহার হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
বেইলি আরো বলেন, 'আমরা এখানে অবসর যাপনের সবরকম রসদ মজুত রাখছি এবং আমরা
যেভাবে এটিকে তৈরি করেছি, দেখলে আপনার মন ছুঁয়ে যাবে।'
জাহাজটিতে খাবার, পানশালা ও বিনোদনের ৪০ রকমের রসদ রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলিই
ক্রুজ ভাড়ার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। জাহাজে রয়েছে ২০ রকমের ডেক। এমনকি পিয়ানো বারের
মতো শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের সময় কাটানোর জন্য বিশেষ জায়গাও রাখা হয়েছে। সমুদ্রের
দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি গ্রুপ ভ্রমণকারীদের জন্য আরও ২৮ রকমের ব্যবস্থা রয়েছে।
সাত রাত ভ্রমণের জন্য জাহাজটিতে ভাড়া লাগবে সর্বনিম্ন ৭৩১ ডলার। আর ক্রিসমাসে
এর ভাড়া দাঁড়াবে ৮৫ হাজার ডলারে।
আরআই