মে মাসের তুলনায় জুনে দেশে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সেই সঙ্গে এ হার বেড়েছে মজুরি সূচকে। তবে কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। জুনে খাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৭৩ আর মজুরির ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। আর ২০ বেসিস পয়েন্ট কমে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে।
সোমবার ( ৩ জুলাই) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সিপিআই প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, মে মাসে খাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ আর মজুরিতে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল মূল্যস্ফীতি। গত আগস্টে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপর কমতে শুরু করলেও ফের বাড়ছে। গত এপ্রিলে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৮৪।
ওদিকে মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জুনে সেখান থেকে কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয় খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ।
প্রধানত চালের দরের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হয়। নতুন করে চালের দর না বাড়লেও যখন মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়, তখন পেয়াঁজ আর চিনির দর ছিল চড়া। এর প্রভাব খাদ্যের মূল্যস্ফীতিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মে মাসের তুলনায় জুনে শহরে খাদ্যপণ্যে বাড়লেও সার্বিক ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে কমেছে মূল্যস্ফীতি। একই পরিস্থিতি গ্রামেও। জুনে খাদ্য পণ্যের মূল্যষ্ফীতি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে। সার্বিক ৯ দশমিক ৪৫ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। মে মাসে সার্বিক ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, খাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ ছিল মূল্যস্ফীতি।
জুনে গ্রামে খাদ্য পণ্যের মূল্যষ্ফীতির হয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সার্বিক ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে। মে মাসে সার্বিক ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল। খাদ্য পণ্যের মূল্যষ্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। মে মাসে মজুরি হারের সূচকে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিডি/ই/এমকে