আমদানিতেও দামের লাগাম হাতছাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুলাই ২০২৩

কাঁচা মরিচ- ফাইল ছবি

কোরবানির ঈদের আগে বেসামাল হয়ে ওঠা দর সহনীয় রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির মরিচ দেশে ঢোকার পর সেই দাম অর্ধেক নেমে এসেছিল। কিন্তু আমদানি চলমান থাকার পরও দু’দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে, দু’দিন  আগের তুলনায় বুধবার (৫ জুলাই) খুচরায় কেনাবেচা হয়েছে প্রায় দ্বিগুন দামে।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বুধবার কাঁচামরিচ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি। বাজার ও দোকানদার ভেদে দামের পার্থক্য ছিল, কেজিপ্রতি ব্যবধান ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে কোনো দোকানিই ৪৫০ টাকার নিচের দরের মরিচ বিক্রি করেননি।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন কলোনি কাচাঁবাজারের সবজি বিক্রেতারা বলছেন,সোম ও মঙ্গলবার কাচাঁ মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা কেজি। কিন্ত বুধবার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারা জানান, আড়তে দাম বেশি। পাইকারীতেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুদিন আগে এক পাল্লা কাঁচা মরিচ হাজার থেকে ২১শ’ টাকায় কিনতে পারলেও বুধবার কিনতে হয়েছে  ২৩শ’ টাকা থেকে ২৪শ’ দরে। এর সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ, তাছাড়া কিছু কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বেশি পড়ে।

এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুব কম পরিমাণে কাঁচা মরিচ কিনছেন ভোক্তারা। কেজির বা পোয়ার পরিবর্তে নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ ক্রেতা এখন ৫০-১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনছেন। আয় মোটামুটি ভালো থাকা ক্রেতারাও কেজি পরিমাণে মরিচ কেনা বাদ দিয়েছেন। এক পোয়া বা আধা কেজি পরিমাণে মরিচ কিনছেন তারা। সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, সব খাতেই খরচ বাড়লেও বেতন বাড়ছে না। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঈদের আগে কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০-৮০০ এমন কি এক হাজার টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ঈদের ছুটির পর আমদানির মরিচ ঢোকার পর দেশে সেই দাম ২০০ থেকে আড়াইশ’ টাকায় নেমে আসে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।

বিডি/ই/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর