জাতীয় সংসদ- ফাইল ছবি
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না দেশের কৃষক, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই মজুতের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিষয়টি জানান গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল-২০২৩ এর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিষয়টি জানান তিনি।
বিলটি এদিন কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী সংসদকে জানান, মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলটি পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে খাদ্যদ্রব্য মজুতের কোনো সুযোগ থাকবে না।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোন নির্দেশনা অমান্য করলে অপরাধ হিসেবে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। এ অপরাধ জামিন অযোগ্য।
এদিকে পাস হওয়া বিল আইন আকারে কার্যকর হলে পলিশিং ও কাটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা মিনিকেট চাল বিক্রি ও সরবরাহ করা যাব না। আইনগতভাবে এটা অবৈধ হবে। কেননা বিলে বলা হয়েছে, অনুমোদিত জাতের কোনো খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে জাতটির উপজাত পণ্য উল্লেখ ছাড়া ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করলে বা খাদ্যদ্রব্যের স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদন বা বিপণন করলে সেটা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হবে।
বিডি/এন/এমকে