ইউক্রেন নিয়ে ন্যাটোয় বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে
ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান থেকে সরাতে প্রায় দেড় বছর ধরে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে সহযোগিতা করে আসছে। তবে কোনো কোনো ইউরোপের দেশ এর বিরোধিতা করছে।
এরই ধারাবাহিকতা যেন দেখা গেল ন্যাটোতে। ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে ন্যাটো। এমনকি জোটের সদস্যদের মধ্যে ঐক্যের অভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কিছু সদস্য দেশ প্রশ্ন রেখেছে, কতটা সময় ধরে এবং কী পরিমাণ সাহায্য ইউক্রেনকে দেয়া হবে এবং এর পরিণতি কী হবে?
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে শুরু হতে যাচ্ছে ন্যাটো সম্মেলন। এর ঠিক আগে এমন একটি বিষয় সামনে এলো।
এতো কিছু সত্ত্বেও ইউক্রেনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সাফাই অব্যাহত রয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের যতক্ষণ প্রয়োজন, ততক্ষণ তারা পর্যন্ত সাহায্য দিতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের বলেছেন, আমরা ইউক্রেনকে যতক্ষণ পর্যন্ত সহায়তা প্রয়োজন, ততক্ষণ সমর্থন করে যাব এবং তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা দেব।’
যুক্তরাষ্ট্রের কারণে ন্যাটোর অন্য সদস্যদেরও অতিরিক্ত পরিমাণ সহায়তা দিতে হচ্ছে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের ইউরোপ সেন্টারের ফেলো রিচেল রিজ্জোর মতে, আবার ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়ার যে বিষয়টি, তা স্বল্প মেয়াদে জোট তথা ন্যাটোর অভ্যন্তরীণ যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে চাপা দেয়ার উপায় হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য: এরদোয়ান
আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া হবে না এবং কবে নাগাদ সদস্যপদ দেওয়া হবে তা নিয়েও স্পষ্ট বক্তব্য থাকবে না।
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘ন্যাটোকে অবশ্যই এ শীর্ষ সম্মেলনে একটি সমন্বিত ফ্রন্ট নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। তাই এখানে সহজ পদ্ধতি হলো- কেবল স্বল্পমেয়াদি সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানো। বিপরীতে জোটটি বড় বড় সমস্যাকে স্রেফ পদদলিত করে দমিয়ে রাখছে।’
আরআই