দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুলাই ২০২৩

সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে শুরুতেই ডলার সংকটসহ নানা কারণে কিছুটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দেশের গার্মেন্টস শিল্প। তারপরও নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে এ অর্থবছরে ৪৭ বিলিয়ন ডলার পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রফতানির এ প্রবৃদ্ধি ও নতুন বাজার ধরে রাখতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কেননা নতুন অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত অর্ডার আসছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

 

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুসারে, শুরুতে হোচট খেলেও স্বস্তি ফিরে অর্থবছরটির শেষদিকে। সংকট সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হয়েছে। এ আয় তার আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার বেশি।

রফতানি পণ্যের মধ্যে এবারও নিটওয়্যার পণ্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মোট রফতানি আয়ের মধ্যে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার ছিল নিটওয়্যার পণ্য।  আগের তুলনায় বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি পণ্য রফতানি বেড়েছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুরো পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই কিন্তু আমরা নতুন বাজারের দিকে ধাবিত হয়েছি। গত - বছরে আমরা মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক নতুন বাজারসৃষ্টি করেছি।


বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসে যারা কাজ করছেন, তারা আরেকটু সক্রিয়ভাবে কাজ করলে আমার মনে হয়- এই খাতে আরও বেশি শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যেতে পারব।

 

বিজিএমইএ- প্রথম সহসভাপতি  সৈয়দ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সক্ষমতার তুলনায় বর্তমানে আমাদের কাছে অর্ডার আছে মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। সে জন্য খুব খারাপ অবস্থায় আছি আমরা।


বিডি/ই/এমকে




মন্তব্য
জেলার খবর