রাজধানী ঢাকায় বুধবার (১২ জুলাই) সমাবেশ করছে দেশের রাজনৈতিক বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন সমাবেশের দিকে। দুই দলের সমাবেশ ঘিরে মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। আছে এক ধরণের শঙ্কা আর উদ্বেগ। রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টির আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বায়তুল মোকাররমের অদূরে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি এ সমাবেশ হওয়ার কথা।
সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যৌথভাবে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ। আর সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি।
উভয় দলকেই ২৩ শর্তে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। দুই দলকে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, নিজেদের সমাবেশ থেকে বিএনপি সরকার পতনে একদফা আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি। সমাবেশে বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকালে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট ফলাও করে তুলে ধরতে চায় বিএনপি। সমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনুমতি বাতিল হবে।
ডিএমপির ২৩ শর্তের মধ্যে রয়েছে- স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। সেই অনুমোদনের শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনার দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনার মতো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন/বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। সমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে। মূল সড়কে কোনও অবস্থাতেই যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কার্যকলাপ করা যাবে না। রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য; উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
বিডি/আর/এমকে