সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল ব্যবধান কমানোর। তিন
ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে যে ব্যবধানে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ,
সে হিসেবে হোয়াইওয়াশের আশঙ্কা করছিল টাইগার ভক্তরা। তবে এ ম্যাচে টাইগারদের যেন চেনাই
যায়নি। পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তান।
শরিফুল-তাসকিনদের দুর্দান্ত বোলিং এবং অধিনায়ক লিটন দাসের দৃঢ়তায় আফগানিস্তানের
বিপক্ষে স্বস্তির জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গত ম্যাচে
৩শ’র ওপরে রান করা আফগানদের ১৫০ রানের মধ্যে বেধে ফেলে বাংলাদেশ। মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে
যায় অতিথিরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। এছাড়া বাকী প্রায়
অধিকাংশ ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারিনি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৮ বল খেলে শূন্য
রান করে বিদায় নেন নাঈম। কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। শান্ত’র
হাত ধরে দল এগুচ্ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ১১ রানে ভুল করে বসেন এ ব্যাটার।
জোড়া উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপে, তখন দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও লিটন
দাস। এ জুটি থেকে আসে ৩৯ রান। জুটি ভাঙে সাকিবের আউটের পর। তবে ক্রিজের অপর প্রান্ত
আঁকড়ে ছিলেন লিটন। ৬০ বলে ৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস জয় নিশ্চিত করে মাঠ থেকে বের হন।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। তবে শুরু ভালো হতে
দেয়নি টাইগার বোলাররা। প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান
ইব্রাহিম জাদরানকে (১) ও আসা রহমত শাহকে (০) প্যাভিলিয়নের পথ ধরান।
৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দল যখন দিশেহারা, তখন আরেকটি উইকেট তুলে নেন তাসকিন।
দলীয় রানে ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান, গুরবাজ ফেরেন ২২ বলে ৬ রান করে।
তিন উইকেট হারানোর হতাশা কাটিয়ে আর ম্যাচেই থিতু হতে পারেননি আফগানরা। বোলিংয়ে
এসে ফের শরিফুলের ধাক্কা। নবম ওভারে মোহাম্মদ নবীকে এলবির ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। যদিও
রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করেছেন নবী। কিন্তু রক্ষা হয়নি। আম্পায়ার্স কলই বহাল থাকল।
৯ বলে ১ রান করে নবীকে ফিরতে হলো সাজঘরে।
টানা উইকেট পতনে ১২৬ রানে থামে আফগানিস্তান।
শরিফুল ৪টি, তাইজুল ও তাসকিন দুটি করে এবং সাকিব ও মিরাজ একটি করে উইকেট
নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ৪৫.২ ওভারে ১২৬ (গুরবাজ ৬, জাদরান ১, রহমত ০, হাসমতউল্লাহ
২২, নবী ১, জাদরান ১০, ওমরজাই ৫৬, আব্দুল ৪, জিয়াউর ৫, মুজিব ১১, ফারুকী ০; শরিফুল
৯-১-২১-৪, তাসকিন ৮.২-১-২৩-২, মিরাজ ৯-১-৩৫-১, সাকিব ১০-১-১৩-১, তাইজুল ৯-০-৩৩-২।
বাংলাদেশ : ২৩.৩ ওভারে ১২৯/৩ (নাঈম ০, লিটন ৫৩, শান্ত ১১, সাকিব ৩৯, হৃদয়
২২; ফারুকী ৫-১-২৬-২, মুজিব ৭-১-৩৪-০, জিয়াউর ৩.৩-০-২২-০, ওমরজাই ২-০-১১-০, আব্দুল
৪-০-২৭-০, নবী ২-০-৭-১।
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ : আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।