বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা আমিশা প্যাটেল। ২০০০ সালে 'কাহো না পিয়ার হে' সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে হাতখড়ি।
বলিউডের আরেক সুপার স্টার হৃতিকের সাথে তার এ ছবি ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর তামিল, হিন্দি মিলিয়ে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। দীর্ঘদিন তাকে আর সিনেমায় দেখা যায়নি।
লম্বা বিরতির পর আবারও সিনেমায় ফিরতে চলেছেন তিনি। আগামী মাসে গদর-২ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এরই মধ্যে ঝামেলায় পড়েছেন মামলার।
২০১৮ সালে রাঁচির সিভিল কোর্টে তিন কোটি টাকার চেক বাউন্স এবং জালিয়াতির মামলা করেছিলেন প্রযোজক অজয় কুমার সিং। মামলায় ১৭ জুন (শনিবার) কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে সিনিয়র ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক ডি এন শুক্লা আমিশাকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ফের ওই মামলায় ঝাড়খণ্ডের একটি আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
আমিশা ও তার সহযোগী কুণালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ঝাড়খণ্ডের প্রযোজক অজয়।
তার অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি ছবি তৈরির জন্য অভিনেত্রীকে আড়াই কোটি টাকা ঋণ দেন। কথা ছিল, তাদের ছবি ‘দেশি ম্যাজিক’ তৈরি হয়ে মুক্তি পাওয়ার পর সুদসহ সেই টাকা ফেরত দেবেন তারা। পরে টাকা ফেরত চাইলে অজয়কে আড়াই কোটির বদলে তিন কোটির একটি চেক লিখে দেন আমিশা। সেই চেকও বাউন্স করে ব্যাংকে। তারপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রযোজক। আমিশা ও ক্রুনালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ১২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
আনিশা এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আইন যা সিদ্ধান্ত নেয়ার নেবে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আমার এই নীরবতার অন্য মানে খুঁজে বের করছেন এই অজয় বাবু। আমার নীরবতার সুযোগ নিচ্ছেন তিনি। আমাকে বদনাম করে তিনি নিজে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন। বাকিটা তো সবই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু উনি এভাবে সহজে নাম কিনতে চাইছেন।’
আরআই