প্রধান নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মাসহ দেশের ভেতরের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণাধীন মোট পানি সমতল স্টেশনগুলোর মধ্যে শনিবার (১৫ জুলাই) পানি বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৩৬টির এবং অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৪টির।
পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র। ইতোমধ্যেই দেশের চার জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা । শনিবার দেশের চার নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। বিপদসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা রয়েছে আরও কিছু নদীর পানি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শনিবার জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা থাকলেও যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। নদীর ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে পানি। পদ্মার পানি বৃদ্ধিও আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান সব নদীতে পানি কমতে থাকার ধারা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
শনিবার কমলাকান্দার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমা ৮ মিটার, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ মিটার, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি ৪৯ মিটার, কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ২১ মিটার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে।
বিডি/এন/এমকে