দেশের ৮৫ ভাগ রপ্তানি আয় আসে তৈরি পোষাক শিল্প থেকে। এর সিংহভাগই আসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শেখ হাসিনা সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারকে কৌশলি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবীদরা
এদিকে আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি প্লাস পাওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কার্যক্রমের পথে মার্কিন কোনো কৌশল যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে বলে মত ব্যবসায়ী নেতাদের।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির ৫০ দশমিক ৪২ শতাংশ হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আর ১৯ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।
অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো সময়ে তৈরি পোশাকের জন্য কোনো জিএসপি বা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাইনি। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের এ সুবিধা দিয়েছে।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নতুন একটি মাত্রা তৈরি হয়েছে। যার কারণে হয়তো আমরা আগে যত শক্তভাবে দেনদরবার করতে পারতাম, এখন সেটি করার ক্ষমতা খানিকটা কমে গেছে।’
এদিকে ব্যবসায়ীরাও বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র তো বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেয়ই না; সেখানে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হলে ইউরোপের বাজারে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার পথে বাধা হতে পারে মার্কিন নীতি।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে আমাদের রাজনৈতিক বিষয়টি রয়েছে, সেটির সঙ্গে আমাদের আমদানি-রফতানি সম্পর্কযুক্ত নয়। এটি আগেও হয়নি। এখনও হবে না বলে আমরা আশা করি। তবে ইইউর মাধ্যমে তারা কিছু চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে পারে। কারণ বর্তমান যে জিএসপি প্লাসের নীতিমালা রয়েছে, সেটিতে এমন কিছু ধারা রয়েছে, যেটি আমরা মেনে চলি না। সুতরাং, সেখানে হয় তো তারা একটি ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
আরআই