অক্সিজেন সংকটে হাত-পা নড়াচড়া ছেড়ে দিয়েছে সাবা। শরীর ফুলে ওঠায় ইনজেকশন দিতে পাওয়া যাচ্ছিল না শিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিড়ম্বনায পড়েন নার্স-চিকিৎসকরাও। মেয়ের এ অবস্থা দেখে দম যেন বন্ধ হয়ে আসছিল, বারবার চোখ ঝাপসা হচ্ছিল সাবা‘র বাবার। তবে নার্স-চিকিৎসকের হাল ছেড়ে না দেওয়ায় ভরসা পাচ্ছিলেন তিনি। শেষমেশ গতি হয়, আইসিইউতে চিকিৎসা পেয়ে সুস্থতা ফেরে তার মেয়ের।
৭ মাস বয়সী সাবা আক্রান্ত হয়েছিল প্রাণঘাতি ডেঙ্গু জ্বরে। শনিবার (১৫ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিশু সাবা'র সুস্থ হয়ে ওঠা'র বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সাবা রাজশাহীর রাজপাড়া থানাধীন চন্ডিপুর এলাকার মো. রাজুর মেয়ে। রাজু ঢাকা মহাখালী কলেজ হাসপাতালের একজন স্টাফ নার্স।
রাজু বলেন, গত ৮ জুলাইয়ের ২ সপ্তাহ আগে থেকে সাবা'র ঘনঘন জ্বর হচ্ছিল। ঔষধ খাওয়ানোর পর সেরেও যেত। শেষবারে আমি বাচ্চার শরীরের এমন অবস্থা জেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী চলে আসি। এরপর চলতি মাসের ৮ তারিখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গেল ডেঙ্গু হয়েছে।
তিনি জানান, সাবা'র সুস্থতার আসা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কেননা এ মেডিকেলে বাচ্চার জন্য আলাদা আইসিইউয়ের ব্যবস্থা নেই। এ দিকে সাবা'র সারা শরীর ফুলে উঠেছে, একদিকে শিরা খুঁজে না পাওয়ায় ইনজেকশন পুষ করা যাচ্ছিল না। অন্যদিকে অক্সিজেন সংকটে হাত পা ছেড়ে দিয়েছে সাবা। পরে ৯ তারিখে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তারপর চলতে থাকে চিকিৎসা।
তিনি জানান, এতটাই ভয়ংকর রূপ এ ডেঙ্গু রোগের। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমার মেয়েকে ফিরে পাবো। সবাইকে ডেঙ্গু বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিডি/সি/এমকে