null
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছে ৫০ জনেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে একদিকে হাসপাতালগুলোতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
ওদিকে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যেই শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে সরকারি হাসপাতালে। এ কারণে রোগী ফেরত দেওয়ায় চাপ পড়ছে বেসরকারি হাসপাতালেও। ১৫ দিনে এতো রোগী এর আগে কখনও দেখেনি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরাও।
রাজধানীতে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী আসছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে বেশি আসছে হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। অন্যান্য হাসপাতালেও কমবেশি চাপ রয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত জরুরি টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন থেকেই প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। মূল লক্ষ্য থাকতে হবে- হাসপাতালে রোগী যেন কম হয়। খুব বেশি জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে সাধারণ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তারা।
বিডি/এন/এমকে