দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সামনে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিএনপির নীলফামারীর ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়ি ভাংচুর করা হয়। দিনাজপুরে বিএনপির বিভাগীয় পদযাত্রায় অংশ নিতে অনেকগুলো বাস নিয়ে ওই পথে যাচ্ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। উভয় দলের নেতাকর্মীরা বাঁশ-কাঠ ও লোহার রড নিয়ে পথে নামে। পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যানার–ফেস্টুন সংবলিত বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা হাত উঁচিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন তাদের গাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে গাড়ি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নামলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশের দুটি দল বাঁশেরহাট এলাকায় অবস্থান নেয়।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ময়নুল চৌধুরী জানান, ওই ভার্সিটির ছাত্রলীগের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন হামলা চালায়। তাদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট এবং হাতে অস্ত্র ছিল। ইটপাটকেল ছুড়ে গাড়িগুলো ভাঙচুর করে। তারা ১২টি গাড়ির গ্লাস ভেঙেছে। ২৫ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সৈয়দপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আসিফ ইকবাল বলেন, আমার দুই পায়ে আঘাত পেয়েছি। আহত হয়েছেন সৈয়দপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, নীলফামারী, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা মিলে প্রায় ৬০টির মতো বাস ও মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা যাচ্ছিল। শেষের দিকে ৮/৯টি গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এ হামলা চালায়।
বিএনপি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নেতা মোজাফফর আলী জানান, হামলায় ডোমার পৌর বিএনপির মনছুর আলী, ডোমার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার হাসানুর আলম রিমন, ডোমার ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মজিদুল ইসলাম এবং তিনিসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গাড়িতে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা অশ্লীল গালিগালাজ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল। তাদের থামিয়ে বুঝিয়ে বলা হলেও চড়াও হয়েছে ছাত্রদের ওপরে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে