সমন্বিত জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। যদিও ঘনবসতিপূর্ণ হিসেবে দেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তারপরও ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ফুয়েল-মিক্সে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) এনার্জি ট্রানজিশন মিনিস্টারিয়াল মিটিংয়ে দেওয়া বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বক্তব্যে এ তথ্য ওঠে এসেছে। ভারতের গোয়াতে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে এ মিটিংয় হয়।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। উৎপাদন হচ্ছে ১ হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট। জ্বালানি বৈচিত্র্য, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন কৌশলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, আরও ১ হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০টি প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি প্রক্রিয়াধীন ৮ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প। সব মিলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে ৯ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পাইপ লাইনে আছে বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রীর বলেন, দেশে প্রায় ১ লাখ বায়ু গ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। ৫ প্রকল্পের আওতায় বায়ু থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির (সৌর, বায়ু, এবং হাইড্রো ইত্যাদি) পাশাপাশি পারমাণবিক, বিদ্যুৎ আমদানি (হাইড্রো), হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া, সিসিএস (কার্বন ডাই অক্সাইড) ক্যাপচার এবং কম্ববাইন্ড সাইক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মিটিংয়ে ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী আর কে সিং, ব্রাজিলের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী আলেকজান্দ্রে সিলভেরা ডি অলিভেরা, ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ, কপ-২৮’র সভাপতি (মনোনীত) ড. সুলতান আল জাবের, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ডা. প্রমোদ সায়ান্ত’সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
বিডি/এন/এমকে