এবারে ‘ইত্যাদি’তে থাকছে তাহসানের গান

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই ২০২৩

এবারের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান। হানিফ সংকেতের ডাকে সাড়া দিয়ে পৈত্রিক নিবাস মুন্সীগঞ্জে গিয়ে নতুন গান গাইলেন তিনি। ‘ইত্যাদি’র আগামী পর্বে শোনা যাবে তার গানটি।

 

প্রথমবারের মতো ‘ইত্যাদি’র গানে কণ্ঠ দিলেন তাহসান। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার।

 

‘ইত্যাদি’র এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।

 

‘ইত্যাদি’র এ পর্বে ধারণ করা হয়েছে ইছামতি নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী প্রত্ন নিদর্শন ইদ্রাকপুর কেল্লার সামনে পুকুরের মাঝখানে কেল্লার আদলে ভাসমান মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।

 

হানিফ সংকেত জানান, অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৪ জুলাই। ‘ইত্যাদি’র ধারণ উপলক্ষ্যে কেল্লার সামনের পুরো চত্বর এবং পুকুরের চারপাশ ছিল দর্শকপূর্ণ। শুটিং চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।

 

তাহসানের গাওয়া গানটি ছাড়াও লোকগানের সম্রাট আব্দুল আলীমের গাওয়া একটি গান নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন সৈকত শিশু জাহিদ, বাদশা আর শাহজাহান। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ।

 

এ পর্বে দর্শক মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ দেখতে পাবেন। নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন পূর্ব প্রজন্মের শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী বালাম। যাদের বাড়িও মুন্সীগঞ্জে। নির্বাচিত দর্শক এবং আমন্ত্রিত শিল্পীদ্বয় গেয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদের একটি জনপ্রিয় গানসহ তার প্রয়াত ৪ বন্ধু আজম খান, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর এবং পিলু মমতাজের একটি করে জনপ্রিয় গানের অংশবিশেষ।

 

এবারের অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সবার সচেতনতা বাড়াতে একটি ছোট্ট নাটিকা করা হয়। এতে অভিনয় করেছেন অভিনয় তারকা মীর সাব্বির, শাহেদ আলী ও শামীম আহমেদ। 

 

টেলিভিশনে ‘বিকৃত উচ্চারণ’ এবং ‘ভাষা ব্যঙ্গ’, ভিউ দিয়ে শিল্পীর মান বিচার, সততার শিক্ষা, অনলাইন যেখানে অফলাইন, তৈল বনাম ভাগ্যগুণ, কৃষকের কথা, অপ্রিয় সত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। 

 

‘ইত্যাদি’র শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।


মন্তব্য
জেলার খবর