দেশে তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় দৈনিক মারা যাচ্ছে ৪৪২ জন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন না হলে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। তাই আইন শক্তিশালী করার পাশাপাশি তামাকের ভয়াবহতা হ্রাসে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে।
রোববার
(২৩ জুলাই) প্রজ্ঞা
(প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)-এর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন বক্তারা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি ও সাংবাদিক মিনার মনসুর, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বৈঠকে ওঠে আসে, তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট এবং ভ্যাপিং পণ্যের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তামাকের মতোই ই-সিগারেট ক্ষতিকর। তাই তরুণদের সুরক্ষায় ই-সিগারেটসহ সব ধরনের ভ্যাপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, শিশু ও নারীসহ সব অধূমপায়ীকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে ধুমপানের সুযোগ থাকায় পরোক্ষভাবে ধূমপানের ক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রচলিত আইনের ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা’ রাখার বিধান বাতিল করতে হবে। তাছাড়া ধুমপান থেকে তরুণদের সুরক্ষায় বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্যের প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে হবে।
থাইল্যান্ড, নেপাল, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ ৬৭টি দেশ পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হ্রাসে শতভাগ ধূমপানমুক্ত আইন বাস্তবায়ন করেছে। ভারতসহ কমপক্ষে ৩২টি দেশ ই-সিগারেট এবং ভ্যাপিং পণ্যের বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
বিডি/এন/এমকে