বর্তমানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। মশাবাহিত এই রোগটি এডিস মশার কামড়ে মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত রোগীকে মশা কামড়ানোর পর কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও সংক্রমিত হন। শুরুতে এই রোগ ঢাকাভিত্তিক হলেও এখন সারাদেশে ছড়াচ্ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক থাকা জরুরি। শুধু ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় বরং সব খাবারই নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। কিছু খাবার ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে আশীর্বাদ স্বরুপ।
প্রাথমিক অবস্থায় তরল খাবার
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় তরল খাবার খেতে হবে। কেননা শরীর তরল খাবার সহজে গ্রহণ করতে পারে এবং পানিশূন্যতাও দূর হয়।
নিরামিষ
ডেঙ্গু রোগী নিরাময়ের দিকে এগুতে থাকলে অবশ্যই তাকে একটু নিরামিষজাতীয় খাবার দিন। সহজে হজমযোগ্য খাবার। যেমন- খিচুড়ি, দই, ভাত, সেদ্ধ আলু, সেদ্ধ শাকসবজি ইত্যাদি।
ওরস্যালাইন
শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষায় ওরস্যালাইন সবসময় ৫০০ মিলি পানিতে গুলিয়ে পান করতে হবে। অনেক সময় ওরস্যালাইনে পানি কম-বেশি হয়। এতে পানিশূণ্যতা দূরের বদলে আরও বাড়ে। তাই অবশ্যই ৫০০ মিলি পানিতে ওরস্যালাইন গুলিয়ে পান করা জরুরি। এছাড়া ফলের রস, স্যুপ এবং ডাবের পানি পান করাতে পারেন।
স্বাভাবিক খাবার
রোগ নিরাময়ের দিকে এগুতে থাকলে রোগীকে ধীরে ধীরে সাধারণ খাবারের অভ্যাসে আনতে হবে।