যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায়
সাক্ষ্য দিতে আদালতে যান চিত্রনায়িকা পরীমণি। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে আদালতে হাজির
হন তিনি। তবে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঘটনার বিবরণ দিতে পারেননি। এ সময় এজলাসে দাঁড়িয়ে
ফুপিয়ে কেঁদে ওঠেন এ নায়িকা।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শহীদ হোসেন বিচারকের উদ্দেশ্যে
বলেন, আদালতে অনেক মানুষ থাকায় পরীমণি হয়তো সেদিনকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারছেন
না। আইনে এই ধরনের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের বিধান রয়েছে।
বিচারক পরীমণির কাছে ক্যামেরা ট্রায়াল চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,
সেদিনকার ঘটনা মনে পড়লে আমি আজও ট্রমাটাইজ হয়ে যাই। এ কথা বলেই আলোচিত এই নায়িকা কাঁদতে
থাকেন।
এরপর অভিনেত্রীর আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, মাননীয় আদালত, পরীমণি ক্যামেরা
ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন। বিচারক তখন ক্যামেরা ট্রায়ালের অনুমতি দিয়ে আগামী ২৫
সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করে এজলাস ত্যাগ করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ
ও তুহিন সিদ্দিকী। মামলার অপর আসামি শাহ শহিদুল আলমের পক্ষে তার আইনজীবী আদালতে ছিলেন।
শহিদুল আজ আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে আদালতের নিকট সময় চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ জুন যৌন হয়রানির অভিযোগে সাভার থানায় পরীমণি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে
অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।