গুরুদাসপুরের হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে নদী-বিলের মা ও পোনা মাছ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
২৬ জুলাই ২০২৩

বেআইনে হলেও নাটোরের গুরুদাসপুরের হাট-বাজারে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই অবাধে  বিক্রি হচ্ছে নদী-বিলের মা পোনা মাছ। এতে হুমকির মধ্যে পড়েছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

এদিকে চলমান মৎস সপ্তাহের মধ্যেও এ ধরণের মাছ কেনাবেচা চলায় সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। গেল মঙ্গলবার সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, মৎস বিভাগের উদাসীনতা দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় চলছে মা পোনা মাছ শিকার। একশ্রেনীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ কারেন্ট,বাদাই চায়না জাল দিয়ে এ মাছ শিকার করছে।

সরেজমিন চলনবিলকেন্দ্রিক গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়, বিলশা,খুবজীপুর,কাছিকাটাসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে- প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পোনা মাছ ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছ নিষিদ্ধ চায়না,কারেন্ট জাল,বাদাই জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শিকার করা বলে জানায় এলাকাবাসী।

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আকবর আলী বলেন, জুলাই-আগষ্ট মাসে চলনবিলের নদী, খাল, বিল উন্মুক্ত জলাশয়ে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এ সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। এভাবে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হলে চলনবিল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ একদিন হারিয়ে যাবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, মা পোনামাছ নিধন বন্ধে সপ্তাহব্যাপী প্রচারাভিযান চলছে। আমরা নিষিদ্ধ কারেন্ট,বাদাইসহ চায়না জালে মাছ শিকার রোধে অভিযান পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় জানান,ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনামাছ নিধন বন্ধে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর