রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কমিটি ঘোষণা করার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নিজের নিরাপত্তার জন্য মঞ্চ থেকে নেমে এক দৌড়ে গোদাগাড়ী পৌর কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী আফজি বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ মাঠে সম্মেলন ডেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ছয়-সাতটি কমিটি ঘোষণা করছিলেন এমপি ফারুক চৌধুরী।
জানা গেছে, কমিটির ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী এমপি ফারুককে লক্ষ্য করে মঞ্চে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ভাঙচুর করা প্যান্ডেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গোদাগাড়ী অঞ্চলের নেতাকর্মীরা জানান, সম্মেলনটি ডাকেন এমপি ফারুক চৌধুরী নিজেই। সম্মেলনের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কিছুই জানানো বা অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেখানে সংগঠনের গঠনতন্ত্র না মেনে কমিটি গঠনের চেষ্টা করায় এমপি ফারুকের উপর হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
কিছুদিন ধরে এমপি ফারুক গোদাগাড়ী ও তানোরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সম্মেলন করে একই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ছয়-সাতটি করে কমিটি ঘোষণা করছেন। এতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও জানান তারা।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার জানান, এমপি ফারুক চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের নেতাদের না জানিয়ে তিনি একের পর এক কমিটি ঘোষণা করেছেন, এটা নিয়ম না। এভাবে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি করা যায় না। তার ঘোষিত কমিটি কতটা বৈধতা পাবে, সেটা আমি বলতে পারছি না বলেও উল্লেখ করেন এ নেতা।
এমপি ফারুক জানান, এ বিষয়ে মন্তব্য করার মতো তেমন কিছু নেই। কমিটির পদ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দু-চারটি কথা হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, প্যান্ডেলের ভেতরে কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি/সি/এমকে