বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে নিজের জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে বনে যান দক্ষিণী সিনেমার সুপার স্টার রজনীকান্ত। বর্তমানে পুরো ভারত বর্ষে শক্তিমান তারকাদের মধ্যে একজন তিনি।
বলিউডের বড় বড় নায়কদের ভিড়ে রজনীকান্ত আজও তার ক্যারিশমা দেখিয়ে রাজত্ব করছেন। তবে এতোকিছুর মধ্যেও নিজের বদ অভ্যাস ছাড়তে পারেননি অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই স্বীকার করলেন সেই কথা।
নেশার প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'যদি তার জীবনে মদ না থাকতো তিনি সমাজের জন্য আরও ভালো কাজ করতে পারতেন। অ্যালকোহল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।'
এর আগেও নিজের অ্যালকোহল আসক্তির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, যখন আমি কন্ডাক্টর ছিলাম তখন প্রতিদিন মদ খেতাম। প্রচুর সিগারেট খেতাম। আমার দিন শুরু হত আমিষ খাবার দিয়ে। সারাদিনে অন্তত দুবার কোনো না কোনো আমিষ খাবার খেতাম আমি। কিন্তু এ তিনটি জিনিস শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
তবে রজনীকান্তের জীবনে পরিবর্তন আনেন তার স্ত্রী লতা। তিনি ভালোবাসা দিয়ে তার অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে দেন। নিজের ৫০তম জন্মদিনে একটি জনপ্রিয় তামিল অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন রজনীকান্ত। সেখানে তিনি বলেন, যিনি তার সঙ্গে তার স্ত্রী লতার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তার কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন।
মদ, সিগারেট এবং আমিষ খাবার বেশি খেয়ে ৬০ বছর বয়সের পরে সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব নয়। এমনটাই মত এই সুপারস্টারের।