সদ্য প্রকাশিত চলতি বছরের এএসসি পরীক্ষার ফলাফলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে সাবিহা ও ফাতেমা।
সাবিহা উপজেলায় প্রথম হওয়ার পাশাপাশি নাটোর জেলায় দ্বিতীয় হয়েছে। সে গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার প্রভাষক শহিদুল ইসলাম ও গৃহিনী ইসমাতারা ডেইজীর ছোট মেয়ে। সাবিহা ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়।
ওদিকে একই মহল্লার বাসিন্দা ফাতেমাতুজ্জোহুরা প্রয়াত সোহরাব হোসেনের মেয়ে। বাবার মৃত্যুর পর অভাবে দিনানিপাত করা ফাতেমাতুজ্জোহরা তার বাবার স্বপ্ন পূরণে ডাক্তার হতে চায়।
এ দুই মেধাবি চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। সাবিহার প্রাপ্ত নম্বর ১২৬৬ ও ফাতিমার নম্বর ১২৫৭।
ফাতেমাতুজ্জোহুরা জানান, বাবার মৃত্যুর পর নানা প্রতিকুলতার মধ্যে তাকে লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে হয়েছে। সাবিহা তার সাফল্যের পেছনে পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানান।
চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জালাল উদ্দিন বলেন, সাবিহা লেখাপড়ার পাশাপাশি উপস্থিত বক্তৃতা, সাধারণ জ্ঞান ও বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতো। সে এসব প্রতিযোগিতায় জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে এনেছে। ফাতেমাতুজ্জোহুরাও সাবিহার মতো মেধাবী ছাত্রী। এ দু‘জনই ভবিষ্যতে তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে মনে করেন তিনি।
বিডি/সি/এমকে