দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চলমান সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে সমাধান হলে ইসির কাছে নির্বাচন আয়োজন সহজ হবে। বিদ্যমান সঙ্কট রাজপথে মীমাংসিত হওয়ার বিষয় না, এটা সমাধানে দরকার রাজনৈতিক সংলাপ। এমনটাই মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজনৈতিক এ সঙ্কট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সাংবাদিকদের কাছে এ সঙ্কট ও সংলাপ নিয়ে কথা বলার সময় এ আহবান জানান।
সিইসি জানান, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে ইসির কাজের কোনো সংঘাত নেই। তবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতগুলো বিষয় নিয়ে থাকা সঙ্কট যে কোনো মূল্যে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।
সিইসির প্রত্যাশা, সঙ্কট কাটিয়ে একটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যে স্থিতিশীল পরিবেশে হবে আগামী নির্বাচন।
সংলাপ নিয়ে ইসির কোনো উদ্যোগ নেই জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এক টেবিলে বসা, একসঙ্গে চা পান করা। আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা।
ওদিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার আগে সিইসি রাজধানী ঢাকার আগারগাঁয়েও নির্বাচন ভবনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনকে সামন রেখে আরপিও সংশোধন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ টিম পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিইসি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান, আরপিও সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমেনি। যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ইসি দুইটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার এবং বাকি দলগুলো শর্ত পূরণ করতে না পারায় নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জাতীয় নির্বাচনকে সামন রেখে যুক্তরাষ্ট্র অক্টোবরে প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ টিম পাঠাবে বলেও জানান সিইসি।
বিডি/এন/এমকে